ইস্টবেঙ্গলকে আর মনে রাখতে চান না সৌমিক। ১৩ নভেম্বর বর্তমানে এই খবরটা বেরিয়েছে।
খবরটা শুনে মনে পড়ে গেল তুলসিদাস বলরামের কথা। দিকপাল ফুটবলার। অধিকাংশ সময় ইস্টবেঙ্গলেই খেলেছেন। কিন্তু বুড়ো বয়সে, ইস্টবেঙ্গল শব্দটা শুনলেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন।
এর পাশাপাশি রাখুন অরুময় নৈগমকে। আই লিগের চূড়ান্ত ম্যাচ খেলতে মোহনবাগান গেল বেঙ্গালুরু। অরুময় বেঙ্গালুরুর মানুষ। কিন্তু মোহনবাগানকেই সমর্থন করলেন। মোহনবাগানে মাত্র কয়েকমাস কোচিং করিয়েছেন চাটুনি। কিন্তু এখনও কেরলে তাঁর সঙ্গে কলকাতার কোনও সাংবাদিকের দেখা হলে, তিনি সারাক্ষণ মোহনবাগান মোহনবাগান করেন।
মোহনবাগানের বাঙালি ঘরের ছেলেদের কথা তো বাদই দিলাম, টি আও, জারনাল সিংদের মতো ভিন রাজ্যের খেলোয়াড়, ব্যারেটোর মতো বিদেশি সবাই মোহনবাগান অন্তপ্রাণ। চিমা কলকাতার তিন প্রধানেই খেলেছেন, কিন্তু ঘনিষ্ঠতা বেশি মোহনবাগানের সঙ্গেই।
আর ইস্টবেঙ্গলে? তরুণ, মনোরঞ্জন পাক্কা ইস্টবেঙ্গলি। কিন্তু শেষবেলায় নিজের ক্লাবে অপমানিত। সম্মান দিতে এগিয়ে এসেছিল মোহনবাগান। জ্যোতিষ গুহ শেষ বয়সে নিজের ক্লাবে সম্মান পেতেন না। তাঁর জন্য মোহনবাগানের লন খুলে দিয়েছিলেন ধীরেন দে। সৌমিক, বলরামের কথা তো আগেই বলেছি।
হ্যাঁ, মোহনবাগানের ঘরের ছেলে শিশির ইস্টবেঙ্গলে কিছুদিন খেলেছেন। সুব্রত ভট্টাচার্য কোচিং করিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কেউ সৌমিক বা বলরামের মতো ক্লাবের নাম শুনলেই খেপে ওঠেন না। আলভিটো অনেক বছর লাল হলুদে সংসার করে এবছর নিঃশব্দে লাথ খেতে চলেছে। মেহতাব রেডি থাকিস, তোর অবস্থাও বলরাম, সৌমিক, আলভিটোর মতোই হবে।
0 comments :
Post a Comment