ক্রিকেট বা ফুটবল বা যে কোনো স্পোর্টসের ক্ষেত্রেই একটি সংগঠন থাকে। একটি সংগঠনের মূলমন্ত্র কি? পারস্পরিক সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও সহযোগীতা। আর এই সংগঠনের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকে অগুনতি সমর্থকের ভালোবাসা, আবেগ, সমর্থন..।
এই ভালোবাসাকে পুঁজি করেই আবহমানকাল ধরে একটি সংগঠন বা ক্লাব সেই নির্দিষ্ট ক্রীড়াজগতে জ্বলজ্বল করে।
কিন্তু এটা কি হল?? আজ কলকাতার ময়দান দেখল ফুটবল জগতের এক নেতিবাচক, অত্যন্ত ভয়ঙ্কর রূপ..!
২০১৭ আইলীগে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কোচ হয়ে আসেন মরগ্যান। ৯ই এপ্রিল শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত ইস্ট-মোহনের ডার্বিতে মূলত তাঁরই দোষে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের কাছে ১গোলে হেরে যায়। ডার্বির রেজাল্ট ছিল ২-১। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা হতাশায় ভেঙে পড়েন কারণ এই রেজাল্টের কারণে তাদের হাত থেকে আইলীগ প্রায় বেরিয়েই যায়। এখানেই বিতর্কের সূত্রপাত।
আজ ১৪ই এপ্রিল ইস্টবেঙ্গল গ্রাউন্ডে সকালে প্র্যাক্টিস ছিল। সকাল থেকেই ঝামেলার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। যার জন্য প্র্যাক্টিস শুরু হতেও বেশ দেরী হয়। তারপর প্র্যাক্টিস শেষে বেরোনোর মুহূর্তে প্লেয়ারদের ঘিরে ধরেন সমর্থকরা। প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। বিরক্তিতে রেহনেশ সমর্থকদের 'মিডিল ফিঙ্গার' দেখান।
কিছুতেই বুঝতে পারলাম না একজন প্লেয়ার কিভাবে তাদের সমর্থকদের মিডিল ফিঙ্গার দেখিয়ে অপমান করতে পারেন..!!
ঝামেলার এখানেই শেষ নয়। পরের ঘটনা আরো ভয়ঙ্কর। সমর্থকরা রেহেনেশকে ধরে মারেন। অর্ণব এবং অন্যান্য প্লেয়াররা এসে রেহনেশকে বাঁচান। তারপরেও নিস্তার মেলেনি প্লেয়ার দের। উত্তপ্ত জনতা প্লেয়ারদের গাড়ির নীচে শুয়ে পড়েন, তাদের যেতে দেবেন না বলে। তারপর ইস্টবেঙ্গল মালিক দেবব্রত সরকার ওরফে নীতু সরকার এসে বিষয় বাগে আনতে চেষ্টা করেন। সমস্যা কমার বদলে আরো বেড়ে যায়। ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গল সাপোর্টার নীতু বাবুকেও সপাটে চড় মারেন..! এছাড়াও আজ মরগ্যানের কুশপুতুল পোড়ায় ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
এসব দেখে বড়ই অবাক হলাম। হতাশ হলাম। আমাদের ক্লাবে আমরা ক্লাবকর্তাদের, প্লেয়ারদের সম্মান করি। চরম ব্যর্থতার দিনগুলিতেও কিন্তু এই ভালোবাসা অবিচল ছিল। পাঁচ বছর ট্রফিলেস থাকার সময়ে দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারিনি মায়ের সমান মোহনবাগানকে কোনোভাবে অপমান করব, মাকে কষ্ট দেবো..। তাই জন্যই হতো আজ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এই ঘটনা বড়ই হতাশ করল..।
জন্মেছি মোহনবাগানী হয়ে, যতবার জন্মাবো মোহনবাগানী হয়েই জন্মাতে চাই। Win, loss or tie, Mohunbagan till I die..
- সোহিনী দেবরায়, এক গর্বিত মোহনবাগানী
khub sundor lekha..well done
ReplyDeleteThis comment has been removed by the author.
ReplyDeletedarun lekha..... joy mohunbagan
ReplyDelete