নীতু-কালুর কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। ওরা যা করল, তাতে গর্বে- আনন্দে বুক ফুলে উঠছে। মনে হচ্ছে, এতদিনে সত্যিকারের ইস্টবেঙ্গলি হলাম।
আমরা লোটা। অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গলি। অনেকে আমাদের বাঙাল বলে। কিন্তু অনেক বাঙাল, মোহনবাগানকে সমর্থন করে। তাদের সঙ্গে গুলিয়ে না ফেলে, আমাদের লোটা বলে ডাকবেন।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আমাদের মায়ের মতো। ইস্টবেঙ্গল শব্দটা শুনলেই দেশের কথা মনে পড়ে। দেশ মানে পশ্চিমবঙ্গ, ভারত এসব ভাববেন না। আমাদের দেশ ইস্টবেঙ্গল মানে পূর্ববঙ্গ, মানে ঢাকা-ফরিদপুর, মানে বাংলাদেশ। কিন্তু আমরা তো সেকেন্ড জেনারেশন লোটা। সেই দেশ কখনও চোখে দেখিনি। ইস্টবেঙ্গল থেকে ঘাড়ধাক্কা খেতে কেমন লাগে তা জানার সুযোগ হয়নি।
জানার সুযোগ করে দিল আমাদের মাতৃসমা ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং নিতু-কালু যুগলবন্দী। আমাদের বাপ-ঠাকুরদাদের মুখের ওপর ইস্টবেঙ্গলের দরজা বন্ধ হয়ে গেছিল। আমাদের মুখের ওপরেও ইস্টবেঙ্গলের দরজা বন্ধ হয়ে গেল। বাপ-ঠাকুরদাদের ইস্টবেঙ্গল ছিল দেশ। আর আমাদের ইস্টবেঙ্গল হল ক্লাব। ঘাড়ধাক্কা খাওয়া হল কমন ফ্যাক্টর।
আহ কী আনন্দ। এতদিনে সত্যিকারের বাপ কা ব্যাটা হলাম। বাপ ছিল দেশ থেকে উদ্বাস্তু। আমরা ক্লাব থেকে উদ্বাস্তু। ইস্টবেঙ্গল জিন্দাবাদ, নিতু-কালু জিন্দাবাদ, উদ্বাস্তু হওয়ার ট্র্যাডিশন জিন্দাবাদ।
0 comments :
Post a Comment