ময়দানি রটনা মেরিনার্স ওয়ার্ল্ডের "মনে গানে মোহনবাগান" অ্যালবামের "হাত কাটলে মোহনবাগান" গানটি শুনে নাকি কল্যান বাবুর বড়ই গোঁসা হয়েছে কারন, গানের পাঞ্চ লাইনটি ইষ্টবেঙ্গলের কর্তাবাবুদের ও তাঁদের সাঙ্গ পাঙ্গ সমর্থকদের বড়ই পিঞ্চ করছে , তাই ওনার একান্ত ইচ্ছা বড়দলুই কাপ ফাইনাল জিতলে ইস্টবেঙ্গল এয়ারপোর্ট থেকে প্রশেসন করে কাপ নিয়ে ফিরবেন, দেখিয়ে দেবেন কাপ নিয়ে ফেরা কাকে বলে।
যদিও এই বড়দলুই কাপ নিয়ে ইষ্টবেঙ্গল ক্লাব সমর্থক আর মিডিয়ার (আনন্দবাজার এবেলা এবং এই সময়) ধ্যাস্টামো ও আদিখ্যেতা দেখে মনে হচ্ছিল ওরা যেন বড়দলুই নয় চ্যাম্পিয়ন্স লীগ খেলতে গেছে আর প্রথম ম্যাচেই জাতভাই বঙ্গব্রিগেডকে হারিয়ে আনন্দের মাত্রাটাও সীমাহীন হয়ে গেছিলো, আদিলেজাকে নিয়ে স্টোরি করবার ধুম, বঙ্গ ব্রিগেড কে হারিয়ে ডং এর ঢং এর বচন আর ফেসবুকে বুকে বারুদ বাহিনীর দাপাদাপিতে অলক্ষে ভগবানও হাসছিলেন
ব্যাপারটা শুরু হয়েছিলো সাতে সাত করবার পড় থেকেই, বড় বড় পোষ্টার, রকমারি পোষ্ট এর ঝাঁজে তখন মউ মউ করছে ফেসবুক, এমন সময় খবর এলো পাঁচ পাঁচ বার বড়দলুই পাওয়া ইস্টবেঙ্গল ষষ্ঠ বারের লক্ষে বরদলুই অভিযানে নামতে চলেছে, মিডিয়ার লাগাতার প্রচার আরও বাড়ল তখন, যখন লাজংকে কোন রকমে হেগেমুতে এক গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠলি, অথচ নিজেরাই কতো নাটক করলি খেলার আগে, গোল কিপার আহত সুতরাং ম্যাচ এর ডেট পিছনোর অনুরোধ, মাঠে নামার আগেই শুরু অজুহাত, হেরে গেলে কেউ দোষ দিতে পারবেনা, আরে বাবা সবাই কি আইএফএ যে তোরা যা বলবি লেজ নাড়তে নাড়তে শুনে নেবে? বলিহারি আবদার, টুর্নামেন্টএর সেমিতে তোদের এক্সট্রা গোল কিপার নেই? বাংলার ইন্টার ন্যাছেনাল কেলাবের ছেনালিপনা দেখে তখন তো সারা ভারত হাসছিল রে, দুদিন আগে সাত এর বদলে আটএ খেলতে গিয়ে তোদের ফেটেছিল আর তোরাই দুদিন পেরলনা ম্যাচ পেছতে বলিস ? বলি লজ্জা সরম বলে কি কিছু আছে না সেটাও বেড়া টপকানোর সময় ফেলে এসেছিলিস রে? অজুহাত নম্বর দুই, তোরা নাকি অ্যাকাডেমির ছেলেদের নিয়ে খেলতে গেছিলিস? হ্যাঁরে ডং আদিলেজা, কালাম আঙ্গাস কোন অ্যাকাডেমিতে আছে রে ?
মিডিয়া, সত্যি কলকাতা মিডিয়াকেকে যতো দেখছি অবাক হয়ে যাচ্ছি, আনন্দবাজার আর এইসময় বরদইলুই আর লোমবেঙ্গলকে জড়িয়ে মহাকাব্য করে ফেললো , "পাঁচ বারের চ্যম্পিয়ন ষষ্ঠবারের খেতাব লক্ষে মাঠে নামছে", "জিততে পারলে রুপকথা লিখবে ইস্টবেঙ্গল" এপিক, কিন্তু এই কদিনে কই এটাতো একবারও লিখল না যে প্রথম বড়দলুই কাপ বিজেতা দল জাতীয় ক্লাব মোহনবাগান, একবারও তো এটা লিখল না যে এই বড়দলুই সাতবার মোহনবাগান ঘরে তুলেছে? বলবে না বলবে না, এটাই বোধহয় পেইড সাংবাদিকতার কুফল।
নিরপেক্ষ ভাবে সর্বদা তোদের মুখোস খুলে দেয় একমাত্র বর্তমান, বর্তমানই বলেছিল তোরা কিভাবে রেফারী ম্যানেজ করিস আর বর্তমানই বলেছিল, দাসনগর আর লিলুয়া পাড় হলেই পদ্মাপারের কেলাবের হালুয়া জ্যাম হয়ে যায় যা আজ খিল্লিতে রুপান্তরিত হয়েছে
মনে যদিও একটা খটকা বা শঙ্কা ছিলই, ধর তোরা জিতেও গেলি কিন্তু ওইচার গাছা সমর্থক দিয়ে প্রশেসন কিভাবে করবি তোরা?
কিন্তু সত্যি বলছি ভাই মনে বড়ই দুঃখু পেয়েছি তোদের হার দেখে, আহারে, লাজং ম্যাচ জিতেই কল্যান বাবুকে দেখতে পাওয়া গেলো শিয়ালদার তাসা পার্টির দোকানে, জিজ্ঞাসা করাতেই জানা গেলো এয়ারপোর্ট থেকে তাড়কাটা গলি (লেসলি ক্লডিয়াস সরনি) পর্যন্ত বুকিং এর আডভান্স, নিতুদার ঘন ঘন সাংবাদিকদের সাথে ফোনএ তোষামোদ "সিএফএল এ সাতে সাত, বড়দলুইতে বাজিমাত" টাইটেল পর্যন্ত ঠিক করে দেওয়া , ম্যাচ চলাকালীন উৎকণ্ঠা , ৮২ মিনিটে আদেলজার গোল, চোখে স্বপ্ন "এয়ারপোর্ট"
চারিদিকে তখন তোদের উদ্দাম দাপাদাপি, ফেসবুকে আমারা কোণঠাসা কিন্তু তোরা কি করে ভুলে গেলি লোটা, ভগবান তোদের সেদিন অভিশাপ দিয়েছিল যেদিন থেকে তোরা রেফারীদের সম্বদ্ধনা দেওয়া স্টার্ট করেছিলিস, কি বলেছিল মনে করে দেখ "লিলুয়া পেড়লেই হালুয়া টাইট, লে হালুয়া" সুতরাং খেলা শেষ হবার তিরিশ সেকেন্ড , হ্যাঁ হ্যাঁ মাত্র তিরিশ সেকেন্ড আগে নেপালের গোল শোধ আর এক্সট্রা টাইমে তোদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে বড়দলুই কাপ চ্যাম্পিয়ন হল নেপালের থ্রীস্টার ক্লাব।
ভেবে দেখ লোটা, কার কাছে হারলি, একটা ক্লাব যার নাম থ্রীস্টার ক্লাব? যাদের নাম শুনলে ক্লাব কম হোটেল বেশি মনে হয়, বাংলার অহংকার দেশের গৌরব ইন্টার ন্যাছেনাল ইষ্টবেঙ্গল কেলাব ছেনালি করে লিলুয়া পাড় করে একটা থার্ড গ্রেড ট্রফি জিততে গেলো, কিন্তু সেটাও পারলো না ?
0 comments :
Post a Comment